নিজের অসহায় মুসলিম ভাইয়ের উপর এহসান করতে ভুলবেন না
নিজের
অসহায় মুসলিম ভাইয়ের উপর এহসান করতে ভুলবেন না। আমাদের সমাজে এমন অনেক মুসলিম ভাই আছেন,
যাদের অর্থ-সম্পদ কম। ছোটো খাটো ব্যাবসা করেন বা কোনো কাজ করেন। তবে পরিপূর্ণ ঈমানদার।
একজন মুসলিম হিসেবে এই মানুষটি সাথে সুন্দর সুসম্পর্ক রাখা, তার খোঁজ খবর নেয়া ও যথাসাধ্য
সাহায্য করাটা মুসলিম হিসেবে আপনার উপর কর্তব্য। কিন্তু আমরা অধিকাংশ মানুষই সেটা করি
না। আমরা সব সময় সম্পদশালীদের সাথে মিশতে পছন্দ করি। এবার সম্পদশালী ব্যাক্তি ঈমানদার
নাকি বেঈমান সেটা আমাদের কাছে কোনো ভাবার বিষয় না।
একটা
বাস্তব উদাহরণ দেই, আমার এলাকায় অনেক দোকান আছে, যেসব দোকানগুলো আসলে ছোটো। তবে সেখানে
বেশ ভালো মানসম্মত পন্য রাখা হয়। কিন্তু দোকান ছোটো হওয়ার কারণে ও চাকচিক্য না থাকার
কারণে তাদের দোকানে কেউ যায় না। এদের মাঝে অনেকেই ঈমানদার, আমার সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
পড়ে। ঈমান-আমলের ক্ষেত্রে তাদের ঘাটতি দেখিনি কোনোদিন। বরং সব সময় সুন্দর ব্যাবহার
করে।
এলাকার
বড় দোকানগুলোতে মানুষ চাকচিক্য দেখে যাওয়ার কারণে ছোটো দোকানের ভাইগুলোর তেমন আয় নেই।
অনেক কষ্টে জীবন কাটায় তবে মুখ ফুটে বলে না কোনোদিন। বর্তমান এই মন্দার বাজারে তারা
কিভাবে এতো অল্প টাকা আয় নিয়ে সংসার চালান ভাবতেই বুক কেঁপে উঠে আমার। অনেক মায়া হয়
মানুষগুলোর জন্য। তাই আমি আমার নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিশ তাদের থেকেই কিনি।
তেলা
মাথায় তেল দেয়াটা বাঙ্গালীর স্বভাব।তাই বড় বড় দোকানগুলোতে নিম্নমানের ও ভেজাল পন্য
রাখার পরও মানুষ যায়।কিন্তু ছোটো দোকানগুলোতে মানসম্মত পণ্য রাখার পরও মানুষ শুধু চাকচিক্যের
অভাবে যায় না। আসলেই বাঙ্গুরা চাকচিক্যের পূঁজারী।