আমাদের ভাষা কেনো সুন্দর হওয়া উচিৎ
মানুষ তার জীবনে যা দেখে, যা অনুভব করে তা থেকে তার মাঝে জন্ম নেয় “বোধ” এর। এই বোধকেই সে সুন্দর ভাবে চিন্তার মাধ্যমে একটা প্যাটার্নে ফেলে এরপর বিভিন্ন শব্দ দ্বারা একে প্রকাশ করে। এটিই হলো মূলত ভাষা। তাই দেখবেন যার দেখার চোখ সুন্দর, তার অনুভূতি শক্তি প্রখর। আর এই প্রখর অনুভূতি শক্তিই তার মাঝে জন্ম দেয় এক সুন্দর,পরিশীলিত ও প্রশান্ত “বোধ” এর। আর এই বোধই প্রকাশিত হয় কথা রূপে, যার মধ্য দিয়ে তার সুন্দর জীবনবোধ প্রকাশ পায়। ভাষাই একজন মানুষের ভেতরকার ‘আমি’ কে সবার সামনে প্রকাশিত করে। তাই আমাদের প্রত্যেকের মুখের ভাষা হওয়া উচিৎ সুন্দর, পরিশীলিত ও পরিমার্জিত।
তবে
দুঃখজনক হলো আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের মুখের ভাষাই সুন্দর নয়, বরং চুরান্ত রকমের
কদর্য আর অসুন্দর। এর পেছনে প্রধাণ কারণ হলো গড়পড়তা সাধারণ বাঙালীর মাঝে জীবনকে দেখার
মতো চোখ আর বোঝা ও অনুভব করার মতো হৃদয় গড়ে ওঠে না। কারণ চারপাশের নানা ঝামেলায় পূর্ণ
কদর্য জীবন ও বোধশক্তিশূণ্য হৃদয়হীন লোভী মানুষদের দেখতে দেখতে তাদের আত্মাও পঁচে যায়।
তবে এর মাঝেও যাদের আমরা ব্যাতিক্রম দেখি, তারা হলো অনেকটা গোবরে জন্মানো পদ্মফুলের
মতো। তাই দেখবেন তাদের জীবন যেমন সুবাসিত, তেমনি তারা তাদের চারপাশকেও সুবাসিত করে।
আমাদের
প্রত্যেকেরই চেষ্টা হওয়া উচিৎ এমনি সুবাসিত মানুষ হয়ে ওঠার।