Posts

Does Culture Exist Without Religion?

Image
  If asked what culture is, the simplest answer would be that whatever people of a particular region do in their daily lives constitutes their culture. Among the factors that help form a culture in a specific area, one of the most powerful and interconnected is the 'belief of the majority of the people in that region,’ meaning 'religion.' It can be said that religion is not just a factor but the most influential force in shaping human behavior and culture. From birth, people have no inherent sense of right or wrong, good or bad. The concept of morality is absent in them. This sense of 'right and wrong,' 'good and bad,' and 'morality' comes from family and society, which derive this moral concept from religion. Religion influences morality, language, art, literature, economy, and politics. In short, the religion of a region is the most significant influence in shaping its culture, particularly in shaping morality. However, the hypocritical secul...

Jalaluddin Muhammad Shah: The Barke Khan of Bengal

Image
  Introduction Islam is like a magical touchstone that instantly transforms anyone it touches. For anyone who has tasted the sweetness of faith, the command of their one and only Lord comes before all else. If fulfilling this command means going against one's family or even the entire world, or even drawing swords against loved ones, a true believer never backs down. Islamic history spanning 1,500 years offers many such examples. On the battlefield of Badr, we witnessed fathers in the Muslim camp while their sons fought for the disbelievers, or vice versa. They fought against each other with the strength of faith alone. Many names come to mind of those who took up arms against their families to protect Islam throughout history, such as Barke Khan, grandson of Genghis Khan. But do we, Muslims of Bengal, know that someone from our region also took up arms against his father to defend Islam and lovingly protected the Muslims of this land? That individual was Sultan Jalaluddin Muhammad...

কোনো মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে তার উপর গোয়েন্দাগিরি করা ইসলাম সমর্থিত কিনা?

Image
  বর্তমান দুনিয়ার প্রত্যেকটি মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সভ্য বিশ্বের প্রত্যেকটি রাষ্ট্র ও সমাজ প্রত্যেক মানুষের ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা তথা প্রাইভেসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। অথচ কিছুদিন আগেও বিষয়টিকে দুনিয়ার মানুষ তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখতো না। আমাদের উপমহাদেশ বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশ অঞ্চলের অবস্থা তো ছিলো আরো ভয়াবহ। এখানে “ ব্যাক্তিগত ” বলতে কোনো শব্দই ছিলো না। বাংলাদেশের সমাজ হলো চুরান্ত কর্তৃত্ব পরায়ন ব্রাহ্মাণ্যবাদী সমাজ। তাই এখানে মানুষের পার্সোনাল স্পেইস বা ব্যাক্তিগত পরিমন্ডল বলতে কিছু ছিলো না। এখানে ব্যাক্তির প্রত্যেকটা জিনিশ চরম ভাবে সমাজ ও সমাজের মানুষ নজরদারী করতো। এমনকি কঠোর ভাবে তার প্রত্যেকটা কাজে হস্তক্ষেপ করতো। “ ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা ” বলতে কিছু যে থাকতে পারে তা সে সময়ে মানুষের ধারণার বাইরে ছিলো। মানুষ ছিলো সমাজের মাতব্বরদের দ্বারা তৈরি করা মানব সৃষ্ট কৃত্তিম এক কাঠামোর দাস। মানুষের তৈরি উদ্ভট ও নিপীড়নমূলক নিয়মকানুনই মানুষকে মেনে চলতে হতো। এমনকি মানুষের পারিবারিক পরিমন্ডল বা ফ্যামেলি স্পেস বলতেও কিছু ছিলো না। পর...

বোধোদয়

Image
আজ জীবনের ২৬টি বসন্ত পাড়ি দিয়ে এই সুন্দর জান্নাত সম স্থানে এসে যখন দাঁড়ালাম। তখন সত্যিই মনে হলো জীবনকে আমি উপভোগ করিনি। আমি শুধু দৌড়ে গেছি , ছুটে গেছি অবিরাম। জীবনকে আমি অনুভব করিনি। জীবন এতো সুন্দর হতে পারে তা আমার ধারণার বাইরে ছিলো। খোদার তৈরি দুনিয়ায় এতো রঙ , এতো রূপ , এতো আনন্দ , এতো হাসি , এতো আশা - তা এই সুন্দর পরিবেশ এ না এলে বুঝতেই পারতাম না। এ এক মুক্ত পরিবেশ। এখানে আসা মানুষগুলো সবাই মুক্ত, সবাই স্বাধীন। এখানে কারো চোখে কোনো ভয় নেই, নেই উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। নেই কপালে দুঃশ্চিন্তার কুঁচকানো ভাঁজ। এখানে তারা শুধুই হাসে। তাদের প্রাণোচ্ছল হাসির ঢেউ আমার তৃষ্ণার্ত মনের শুষ্ক বেলা ভূমিকেও ভিজিয়ে দিয়ে যায়। এক জান্নাতি প্রশান্তি অনুভব করি আমি। তাদের প্রশান্তির হাসি আমি চেয়ে চেয়ে দেখি। কতো মুক্ত তারা , কতো স্বাধীন তারা। আমার আফসোস হয় , যদি আমিও তাদের মতো এমনি করে হাসতে পারতাম। এমনি করে তাদের মতো জীবনকে অনুভব করতে পারতাম। পারতাম প্রতিটি মুহূর্ত বাঁচার মতো বাঁচতে! কিন্তু জানি , সে চাওয়াটা এখন আর সম্ভব নয়। সময় যে অনেকটা গড়িয়েছে। তারুণ্যের প্রাণোচ্ছল সময়গুলো গেছে অকাজে, অরণ্যে রোদন ...

শয়তানের ফাঁদ

Image
শয়তানের ফাঁদ খুবই সূক্ষ্ম। যখন সে দেখে যে কেউ তার জাহেলি জীবন থেকে বেরিয়ে পূর্ণাঙ্গরূপে ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করেছে ও ইসলামের সুশীতল ছাঁয়াতলে এসে প্রশান্তির জীবনযাপন করছে ও ভালো আছে, তখন সেটা তার সহ্য হয় না। তখন সে আরো অভিনব কৌশলে চেষ্টা করে বান্দাকে পথভ্রষ্ঠ করার। সে চেষ্টা করে বান্দার মাঝে কৌশলে নানা সংশয় ঢুকাতে। যখন ব্যার্থ হয় তখন চেষ্টা করে নানা ভাবে বান্দাকে তার উপর মুসলিম ভাইয়ের বিরুদ্ধে রাগিয়ে দিতে ও দুই ভাইয়ে ঝঁগড়া লাগাতে। যখন এতেও ব্যার্থ হয়, তখন চেষ্টা করে বান্দাকে অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজে ব্যাস্ত করে দিতে। তাকে দিয়ে অপর মুসলিম ভাইয়ের গীবত করাতে। যখন এতেও ব্যার্থ হয়, তখন সে তার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রটা ব্যাবহার করে। সেটা হলো ‘ভবিষ্যত নিয়ে দুঃশ্চিন্তা’। একজন মুসলিম খুবই প্রশান্তিময় জীবন যাপন করে, তার জীবনের প্রধাণ কাজই হলো আল্লাহর ইবাদাত করা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর দেয়া হুকুম-আহকাম মেনে চলা। এরপর সে তার অন্যান্য কাজ করবে। এই ক্ষেত্রে সে ঠান্ডা মাথায় স্থীর ভাবে নিজের প্রতিটি কাজের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করবে আর সেই কাজে এগিয়ে যাবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে নানা ধরণের বা...

নর্তকী থেকে নৃত্যশিল্পী: বাংলার সমাজে অশ্লীলতা নর্মালাইজেশনের গল্প

Image
কিসের নৃত্যশিল্পী? নৃত্যশিল্পী বলতে কোনো শব্দ নেই। আসল শুদ্ধ শব্দ হলো নর্তকী। পরপুরুষকে গানের তালে তালে শরীর প্রদর্শনের মাধ্যমে যৌনসুখ দেয় যে সেই নর্তকী। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে নর্তকী ছিলো। তাদের কাজই ছিলো নাঁচ-গান করে শরীর প্রদর্শন করে রাজা-মহারাজা বা সাধারণ মানুষকে মনোরঞ্জন দেয়া। কাজটা নিতান্তই গর্হিত কাজ হিসেবে গণ্য হতো। কোনো ভদ্র পরিবারের মেয়ে এই পেশায় আসতো না। একান্তই নিরুপায় না হলে অতীব নিম্ন পরিবারের মেয়েও কেউ এই পেশায় আসতো না। অর্থাৎ, সমাজে এই পেশাটা গর্হিত পেশা হিসেবে গণ্য হতো। তবে এই অঞ্চলে ক্যাপিটালিজমের উদ্ভব হওয়ার পর নব্য-ক্যাপিটালিস্টদের নির্লজ্জ নারী দেহের প্রয়োজন হয়। কারণ ক্যাপিটালিজম এর মার্কেটিং স্ট্রাটেজির অন্যতম উপাদান হলো নারী ও নারী দেহ। ক্যাপিটালিজম নারীকে দেখে অবজেক্ট হিসেবে, মানুষ হিসেবে না। ক্যাপিটালিস্টদের কাছে নারী হলো একটা বস্তু, যাকে প্রদর্শন করে ক্রেতাদের পণ্যক্রয়ে আকর্ষণ করা যাবে। এখন নারীকে বস্তু হিসেবে ব্যাবহার করার জন্য ক্যাপিটালিস্টরা মিডিয়া ও শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ব্যাবহার করে ধীরে ধীরে নারীদের যেই সহজাত লজ্জাশীলতা সেটাকে কমিয়ে দেয়। ...

ধর্ম ছাড়া সংস্কৃতির কোনো অস্তিত্ব থাকে কি?

Image
সংস্কৃতি কি – এই প্রশ্নটা যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তবে সবচেয়ে সহজ ভাষায় বলা যায় যে, কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে যা যা করে তাই সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনগণের সংস্কৃতি। যেসব উপাদান কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে কোনো সংস্কৃতি গড়ে উঠতে সাহায্য করে, সেসব উপাদানের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী একটি উপাদান হলো ‘সেই অঞ্চলের জনগণের বৃহৎ অংশের বিশ্বাস’ তথা ‘ধর্ম’। বলা যায় ধর্ম হলো মানুষের জীবনাচারের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রভাবক। কোনো একটি সমাজের মানুষের মাঝে জন্ম থেকেই ভালো-মন্দ, ঠিক-বেঠিকের ধারণা থাকে না। নৈতিকতার ধারণা তার মাঝে অনুপস্থিত থাকে। এই ‘ভালো-মন্দ’, ‘ঠিক-বেঠিক’ ও ‘নৈতিকতার’ ধারণা ব্যাক্তি পায় পরিবার ও সমাজ থেকে। আর পরিবার ও সমাজ এই নৈতিকতার ধারণা নেয় ধর্ম থেকে। শুধু নৈতিকতাই না, একটি অঞ্চলের ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি – এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে ধর্মের প্রভাব নেই। এক কথায় আমরা বলতে পারি, কোনো একটি অঞ্চলের ধর্মই সেখানকার সংস্কৃতি গড়ে ওঠার সর্বাধিক শক্তিশালী প্রভাবক। অথচ বাংলাদেশের জ্ঞানপাপী সেক্যুলার-লিবারেল ভন্ডরা সব সময় ধর্মকে সংস্কৃতি থেকে আলাদা করতে চায়। ...